বঙ্গ-নিউজ

সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন করে আবারও এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার কমিশনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই সংশোধনী উপস্থাপন করা হবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনে বেশকিছু পরিবর্তন আসছে। এবারের আইনে ‘জাতীয় জনসংখ্যা কোটার ভিত্তিতে প্রত্যেক জেলায় আসন বণ্টন করার বিষয়টি স্পষ্ট করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আসন বণ্টনে জনসংখ্যা কোটা কীভাবে নির্ধারণ হবে তাও উল্লেখ করা হচ্ছে। বিদ্যমান আইনটির ২, ৫, ৬ ধারা ও বিভিন্ন উপধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। ২ ধারায় যুক্ত হচ্ছে ‘জাতীয় জনসংখ্যা কোটা’ নামে নতুন উপধারা। যদিও ২০০৮ সালে জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিতে দিয়ে বিগত এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সেসময় ১৩৩টি সংসদীয় আসন ভেঙে টুকরো করা হয়। গ্রামের আসন কমিয়ে শহরে আসন বাড়ানো হয়। সেই হিসাবে ঢাকা শহরে অপ্রয়োজনীয়ভাবে আসন সংখ্যা বেড়ে যায়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০১৯ সংশোধনীর খসড়া নিয়ে আজ কমিশন বৈঠকে আলোচনা হবে। কমিশন একমত হলে সংশোধনী চূড়ান্ত হবে। সংশোনীতে ২ ধারায় ‘জাতীয় জনসংখ্যা কোটা’ শীর্ষক ১১ উপধারায় নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় জনসংখ্যা কোটা কী এবং কীভাবে তা নির্ধারণ হবে তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে ৫ ধারার ২ উপধারায়। ২ উপধারায় (ক) সিটি করপোরেশন ব্যতীত সমগ্র দেশের বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা এবং সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে প্রাপ্ত জনসংখ্যার গড় নির্ধারণ; (খ) সিটি করপোরেশনসমূহের হালনাগাদকৃত ভোটার সংখ্যা এবং সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে প্রাপ্ত জনসংখ্যার যোগফলের দুই তৃতীয়াংশের গড় নির্ধারণ; (গ) ক এবং খ তে প্রাপ্ত ফলাফলের যোগফলকে সংসদের মোট আসন সংখ্যা দ্বারা বিভাজনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংখ্যা। ৩ উপধারায় বলা হয়েছে—উপধারা ২ অনুযায়ী একইভাবে প্রতিটি জেলার জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যার গড় নির্ধারণ করে জনসংখ্যার কোটা দ্বারা ভাগ করে প্রতিটি জেলার আসন বণ্টন করতে হবে। ৫ উপধারায় বলা হয়েছে—৩ উপধারায় প্রাপ্ত জনসংখ্যার গড় এবং জাতীয় জনসংখ্যা কোটার ভিত্তিতে প্রাপ্ত গড়ের ব্যবধান ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কম-বেশি হলে সংশ্লিষ্ট জেলার আসন সংখ্যার কম বেশি হবে না। ৬ উপধারায় বলা হয়েছে—৩ উপধারায় যা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন প্রত্যেক জেলার অনুকূলে অন্যূন ১টি আসন বণ্টন করবে। ৬ ধারায় জেলা জনসংখ্যা কোটার বিষয়ে বলা হয়েছে—৪(ক) সিটি করপোরেশন (যদি থাকে) ব্যতীত সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা এবং সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে প্রাপ্ত জনসংখ্যার গড় নির্ধারণ; (খ) সিটি করপোরেশন (যদি থাকে) এর বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা এবং সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে প্রাপ্ত জনসংখ্যার যোগফলের দুই তৃতীয়াংশ গড় নির্ধারণ; (গ) দফা ক এবং খ তে প্রাপ্ত ফলাফলের যোগফলকে সংশ্লিষ্ট জেলার অনুকূলে বণ্টনকৃত মোট আসনে সংখ্যার দ্বারা বিভাজনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংখ্যা।

এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যে আজ নির্বাচন কমিশনের ৫৬তম সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভার অন্যতম পাঁচ এজেন্ডায় ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর